নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেছেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা একটা দাহ্য পদার্থ। এ ছাড়া অন্যান্য কেমিক্যাল ছিল। প্রত্যেকটা জিনিসই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে।
শুক্রবার সকালে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সব কথা বলেন।
এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে রাসায়নিকের মজুত ছিল। কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। ভবনগুলোর মধ্যে সুগন্ধির ক্যান ছাড়াও লাইটার রিফিল করার ক্যান ছিল। এগুলো ব্লাস্ট হয়ে বোমের মতো কাজ করেছে।
বৃহস্পতিবার চকবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছিলেন, ‘পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাসায়নিক গুদামের কোনো সম্পর্ক নেই, ওই ভবনে কোনো রাসায়নিক গুদামও নেই।’
বুধবার রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট রাত ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ৭৮টি মৃতদেহ। এ ছাড়া আরো ১১টি মৃতদেহ বিভিন্নভাবে পৌঁছায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। এর মধ্যে শনাক্ত হওয়া ৪০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাদের মরদেহ শনাক্ত হয়নি, তাদের পরিবারকে আগামী রবিবার সকাল ৯টায় মালিবাগ সিআইডি অফিসে রক্তের নমুনা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।